অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব ইয়ান্স স্টোলটেনবার্গ একথার সত্যত্য স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনের প্রতি সামরিক ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে গিয়ে ইউরোপকে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। সামনের দিকে ইউরোপীয় দেশগুলোর জনগণকে আরো কঠিন সময় পার করতে হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
তিনি গতকাল (রোববার) জার্মান দৈনিক ওয়াল্ট এম সটংকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে ইউরোপীয় পরিবারগুলোর জন্য কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।
অবশ্য এজন্য অনুতপ্ত না হয়ে বরং ইউক্রেনের প্রতি অর্থ ও অস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় নাগরিকদের এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে, ইউক্রেনের জনগণ তাদের রক্ত দিয়ে যুদ্ধের মূল্য পরিশোধ করছে।”
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ইউরোপীয় নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য চড়া মূল্য দিতে হলেও ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখত হবে; কারণ, তার ভাষায় ‘ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনই হচ্ছে শান্তি বজায় রাখার সর্বোত্তম উপায়।’ তিনি সরাসরি কিয়েভের প্রতি জার্মান সমরাস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখতে উৎসাহ দিয়ে বলেন, “জার্মান অস্ত্র ইউক্রেনের জনগণের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করছে।” ইউক্রেনকে অস্ত্র যোগালে আলোচনার টেবিলে পশ্চিমাদের অবস্থান শক্তিশালী থাকবে বলেও নিজের বিশ্লেষণ তুলে ধরেন স্টোলটেনবার্গ।
ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের সম্ভাব্য যোগদান ঠেকাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এ অবস্থায় রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কিয়েভের প্রতি নিজেদের সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেয় আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো। ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দেয়ার ক্ষেত্রে জার্মানি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
Leave a Reply